ঢাকা , মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে দিশাহারা হাজারো পরিবার শুল্ক চাপে ব্যবসা-বাণিজ্য হঠাৎ অস্থির শিক্ষাঙ্গন বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনই বিএনপির সামনে এখন চ্যালেঞ্জ-মির্জা ফখরুল পুরুষশূন্য জোবরা গ্রাম, চবি ক্যাম্পাসে উৎকণ্ঠা অর্ধশত শিক্ষার্থীর মাথায় অস্ত্রের কোপ অনেকের থেঁতলে গেছে হাত-পা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই -আসিফ নজরুল আরও ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা নীতিমালা সংশোধন ভোট কক্ষের সংখ্যা কমছে নির্বাচনে তিন বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন কৌশল নতুন চ্যালেঞ্জে নির্বাচন কমিশন ২১৩০ কোটি টাকায় আলেকজান্ডারকে দলে ভেড়ালো লিভারপুল ফাইনাল হেরে কর্মকর্তার মুখে থুতু দিলেন সুয়ারেজ! ভায়োকানোর বিপক্ষে হোঁচট খেলো বার্সা মাঠে ডিম পাড়লো পাখি, এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো স্টেডিয়াম পুরুষদের থেকেও বেশি প্রাইজমানি ঘোষণা নারী বিশ্বকাপে! পোরশায় ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালিও পরিছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসছে উন্ডিজ বিপিএলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পেল ‘আইএমজি’
চবির সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে

অর্ধশত শিক্ষার্থীর মাথায় অস্ত্রের কোপ অনেকের থেঁতলে গেছে হাত-পা

  • আপলোড সময় : ০১-০৯-২০২৫ ১০:৪৫:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৯-২০২৫ ১০:৪৫:২৮ অপরাহ্ন
অর্ধশত শিক্ষার্থীর মাথায় অস্ত্রের কোপ অনেকের থেঁতলে গেছে হাত-পা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। এরমধ্যে কিছু সংখ্যক ছাড়া বাকিরা প্রায় সবাই শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থীদের অনেকে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাদের বেশ কয়েকজন এখন ভর্তি আছেন আইসিইউতে। অনেকের হাত-পা ভেঙে ও থেঁতলে গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত রয়েছে। পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাথায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে এক শিক্ষার্থীর মাথার মগজ কেটে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ১০ শিক্ষার্থীর হাত-পা ভেঙে ও থেঁতলে গেছে। কয়েকশ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। আহত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউ, ন্যাশনাল হসপিটাল ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে।
চমেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বুশরা জানিয়েছেন, গত রোববার সকাল থেকে আনুমানিক শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে অর্ধশত শিক্ষার্থীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মাথায় ও হাতে আঘাতপ্রাপ্ত। ৫-৬ জন আছেন বেসরকারি হাসপাতালে আইসিউতে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। আমাদের প্রক্টর ও প্রোভিসি (একাডেমিক) আহত। তারা হেলমেট পরে ছাত্রদের ধরে ধরে কুপিয়েছে। আমরা রাত থেকে প্রশাসনের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেও তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমাদের শত শত শিক্ষার্থী হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারী সন্ত্রাসীরা সরাসরি ধারালো অস্ত্র হাতে এ হামলা চালিয়েছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। গুরুতর আহতদের বিশেষ চিকিৎসা নিশ্চিতে খোঁজখবর রাখছে প্রশাসন।
সংঘর্ষে আহতদের অনেকে ভর্তি আছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ক্যাজুয়েল্টি বিভাগে। এরমধ্যে ভাষা বিজ্ঞান (২০২৪-২৫) সেশনের শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ, বাংলাদেশ স্টাডিজ (২০১৯-২০) সেশনের মুহাম্মদ রোমান রহমান, বাংলাদেশ স্টাডিজ (২০২১-২২) সেশনের তাওহিদুল ইসলাম, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স (২০২০-২১) সেশনের মোহাম্মদ ইসমাঈল ও ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপ (২০২০-২১) সেশনের সাকিব আহমেদ রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয়রা পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে তারা দা-ছুরি নিয়ে হামলে পড়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নজির আছে। হামলায় অংশ নেওয়া জড়িতদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে গত রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত দুই শতাধিক লোক হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া বাকি প্রায় সবাই শিক্ষার্থী। আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, দুই সহকারী প্রক্টর রয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার রাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ছাত্রী সুফিয়া খাতুন ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেটের কাছে একটি ভাড়া ভবনে থাকেন। ওইদিন রাতে ওই ভবনে প্রবেশের সময় দেরিতে আসার অজুহাতে তাকে ঢুকতে দেননি দারোয়ান। রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ওই ছাত্রী প্রতিবাদ জানালে গেট খুলে তাকে মারধর করেন দারোয়ান। পরে ফোন করে সহপাঠীদের বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী ছাত্রী।
খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা ওই দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয়রা ইটপাটকেল মারা শুরু করেন। তখনই সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ওই ছাত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদিনের মতো আমি আজও সময়মতো বাসায় চলে আসি। ১২টার আগেই আমি বাসার সামনে পৌঁছাই। দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললে তিনি খুলছিলেন না। পরে জোরে ডাক দিলে তিনি অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। আমি জবাব দিতে গেলে হঠাৎ চড় মারেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার রুমমেটরা নামলে তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং লাথি মারতে থাকেন।
এরপর রাত প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে দুপক্ষ সরে যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ওই রাতেই অন্তত ৭০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। রাতের ঘটনার পর ২ নম্বর গেট থেকে জোবরা হয়ে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল লোহার রড, পাইপ, কাঠের গুঁড়ি ও পাথর। গ্রামবাসীর হাতে ছিল রামদা, লোহার রড, পাইপ। সংঘর্ষে জোবরা গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে গ্রামের অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। এসময় অনেক শিক্ষার্থী অলিগলিতে আটকে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় অনেক শিক্ষার্থীকে নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে। গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। বিকেল সাড়ে তিনটার কিছু আগে সেনাবাহিনী, র?্যাব ও পুলিশ সদস্যরা জোবরা গ্রামে প্রবেশ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীল গাড়ি ঘিরে ক্ষোভ জানান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলছে। সংঘর্ষের কারণে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে এ হামলায় ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। শত শত লোকের হাতে ধারালো অস্ত্র তাৎক্ষণিক আসার কথা নয়। শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে কুপিয়েছে এলাকার সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। তারা বলছেন, স্থানীয় ক্যাডাররা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নিরীহ শিক্ষার্থীদের মেস থেকে বের করে পিটিয়েছে। এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন নির্মমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আর ঘটেনি-বলছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক শিক্ষার্থীকে ছাদে তুলে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। কয়েকজন মিলে তাকে ছাদের কিনারায় নিয়ে যান। এরপর একজন তাকে পেছন থেকে লাথি মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেন।
হামলায় শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেকে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে গেলে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাদের ওপরও চড়াও হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন খান, প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর হায়দার আরিফ, নিরাপত্তা প্রধান, ১০-১২ জন নিরাপত্তা প্রহরী আহত হন।
স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তানভির হায়দার আরিফের গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন খান স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাদের ওপরও হামলা চালান। হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডটি জোবরা গ্রাম। রোববার রাতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া জোবরা গ্রামে গিয়ে বলেন, উচ্ছৃঙ্খল ছাত্ররা রাতে আমাদের ঘরবাড়ি, মা-বোন ও গাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে। এই ছাত্ররা ভিসিকেও মানে না। তিনি হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে তার এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্কের মুখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ দলের নির্দেশনা অমান্য করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৩টি আবাসিক হলের মধ্যে ছাত্রদের ৯টি ও ছাত্রীদের হল ৪টি। এসব হলে ৯ হাজারের মতো শিক্ষার্থী থাকেন। আশপাশে বিভিন্ন কটেজ ও মেসে ভাড়া থাকেন আরও অন্তত পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ২ নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে পাঁচশোর বেশি শিক্ষার্থী ভাড়া বাসায় থাকেন। স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীদের অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স